স্বাধীকার আন্দোলন

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী | - | NCTB BOOK
768
768

১৭৫৭ সালের পলাশী যুদ্ধের পর বাঙ্গালী সমাজ ইংরেজদের অপশাসন মেনে নিতে পারেনি। ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের মাধ্যমে।

common.content_added_by

ফকির সন্ন্যাসী আন্দোলন (১৭৬০-১৮০০)

755
755
  • ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানি আমলের প্রথম আন্দোলন ফকির সন্ন্যাসী আন্দোলন ।
  • ১৭৬০-১৮০০ সাল পর্যন্ত ফকির সন্ন্যাসী আন্দোলন চলে।
  • ১৭৬৪ সালে বক্সারের যুদ্ধে মীর কাসিম ফকিরদের নিকট সাহায্য চেয়েছিলেন।
  • বাংলার ফকির আন্দোলনের নেতা ফকির মজনু শাহ।
  • সন্ন্যাসীদের নেতা ছিলেন ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরাণী।
common.content_added_by

চাকমা বিদ্রোহ (১৭৭৬-১৭৮৯)

946
946
  • চাকমা বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেয় চাকমা রাজা জোয়ান বখস না।
  • কারণ চাকমা রাজা জোয়ান বকসকে মুদ্রার রাজস্ব দিতে বাধ্য করা হয় ।
  • পার্বত্য চট্টগ্রামে মুদ্রা অর্থনীতি প্রচলনের ব্যবস্থা করায় চাকমা বিদ্রোহ সংঘঠিত হয়।
common.content_added_by

তিতুমীর আন্দোলন (১৮৩১)

1.1k
1.1k
  • তিতুমীরের প্রকৃত নাম সৈয়দ মীর নিসার আলী।
  • ডিমীর প্রথন বারাসাতে (চব্বিশ পরগনায়) ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
  • বারাসাতের বিদ্রোহের পর ইংরেজদের সাথে যুদ্ধের আশঙ্কা করে তিনি নারিকেলবাড়িয়ায় বাঁশেরকেল্লা (১৮৩১) নির্মাণ করেন। তিতুমীরের তৈরি বাঁশের কেল্লা ইংরেজ সৈন্যরা ধ্বংস করে ১৮৩১ সালে।
  • ইংরেজ লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্টুয়ার্টের নেতৃত্বে ইংরেজ কামানের গোলাতে তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা চূর্ণ বিচূর্ণ হয়।
  • প্রথম বাঙ্গালি হিসেবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করে শহীদ হন।
  • এই যুদ্ধে তাঁর আরও চল্লিশ সহচর শহীদ হন।
  • তার প্রধান সেনাপতি ছিলেন- গোলাম মাসুম।
common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সাঁওতাল বিদ্রোহ

765
765
  • সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন দুই ভাই সিধু ও কানু।
  • ডালহৌসির সময়ে সাঁওতাল বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।
common.content_added_by

সিপাহী বিদ্রোহ (১৮৫৭)

989
989

১৮৫৬ সালে এনফিল্ড নামক এক প্রকার রাইফেল ব্যবহার শুরু হয়। এই বন্দুকের কার্তুজ দাঁত দিয়ে কেটে ব্যবহার করতে হতো। গুজব রটে যে, এই বলুকের কার্বুজ গরু ও শুয়োরের চর্বি নিয়ে তৈরী। হিন্দু-মুসলমান সৈনিকদের মনে ধারণা জন্মে যে, তাদের ধর্ম বিনষ্ট করার জন্য এই ব্যবস্থা করেছে। ১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুরের দমদমে সিপাহি মঙ্গলপান্ডে কার্তুজ ব্যবহারে অস্বীকৃতি জানান এবং তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আক্রমণ করেন।

জেনে নিই

  • সিপাহী বিদ্রোহ সংঘটিত হয় ১৭৫৭ সালে।
  • সিপাহী বিদ্রোহের নেতা হাবিলদার রজব আলী ও মঙ্গল পান্ডে।
  • সিপাহী বিদ্রোহ সমর্থন করার ক্ষমতাচ্যুত হন দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ ।
  • দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে নির্বাসন দেওয়া হয়- রেঙ্গুনে (মিয়ানমার)।
  • ১৮৫৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়ার নিকট থেকে ক্ষমতা গ্রহন করে রানী ভিক্টোরিয়া স্বয়ং।
common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ব্যারাকপুর সেনানিবাস
কোলকাতায়
ভিক্টোরিয়া পার্কে
ঢাকায়

ফরায়েজী আন্দোলন (১৮৪২)

859
859
  • উনিশ শতকে বাংলায় গড়ে ওঠা একটি সংস্কার আন্দোলন হল ফরায়েজী আন্দোলন।
  • ফরায়েজি শব্দটি আরবি শব্দ ফরজ (অবশ্যক পালনীয়) থেকে।
  • এ আন্দোলনের প্রবক্তা হাজী শরীয়তউল্লাহ।
  • হাজী শরীয়তউল্লাহ অনুগ্রহ করেন ফরিদপুর জেলায়।
  • শরীয়তউল্লাহের মৃত্যুর পর এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তাঁর সুযোগ্য পুত্র মুহসিনউদ্দীন (দুদু মিয়া)। দুদু মিয়া এ আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনের রূপ দেন ।
  • দুদু মিয়া বলেন “জমি থেকে খাজনা আদায় আল্লাহর আইনের পরিপন্থী"।
common.content_added_by

নীল বিদ্রোহ (১৮৫৯-১৮৬০)

788
788

অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে ইউরোপের শিল্প বিপ্লব (১৭৬০-১৮৪০) এর সময় বস্ত্রশিল্পের এক অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়। ফলে কাপড়ে রং করার জন্য নীলের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়। এ ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় নীলচাষে বাধ্য করে ইংরেজরা। কিন্তু নীলকররা নীলচাষীদের নানাভাবে অত্যাচার করত, প্রাপ্য দিতনা। নীল চাষে অসম্মতি জানালে তাদের উপর নেমে আসত অবর্ণনীয় নির্যাতন। নীল ব্যবসার জন্য গড়ে উঠে নীল কুঠি।

জেনে নিই

  • নীল চাষের প্রতিরোধে আন্দোলনে প্রথম প্রবাদ পুরুষ সর্দার বিশ্বনাথ।
  • নীল বিদ্রোহের নেতা রফিক মন্ডল, বিচরণ বিশ্বাস ও দিগন্তের বিশ্বাস প্রমুখ।
  • ১৮৬০ সালে সরকার গঠন করে 'নীল কমিশন' বা ‘ইন্ডিগো কমিশন’।
  • ১৮৬২ সালে নীল বিদ্রোহের অবসান হয়।
  • নীল চাষীদের অত্যাচারের কাহিনী নিয়ে দীনবন্ধু মিত্র রচনা করেন বিখ্যাত নাটক- ‘নীল দর্পণ' (১৮৬০)।
  • ‘নীল দর্পণ’ এর ইংরেজি অনুবাদ - The Indigo Planting Mirror (মধুসুদন দত্ত)।

common.content_added_and_updated_by

আলীগড় আন্দোলন (১৮৭৫)

2.2k
2.2k

১৮৭৫ সালের পর মুসলিমদের শিক্ষার উন্নয়নে আলীগড় কলেজকে কেন্দ্র করে যে স্বতন্ত্র রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ধারা সৃষ্টি হয়, তাকে আলীগড় আন্দোলন বলে। ১৮৭৫ সালে উত্তর প্রদেশের আলীগড়ে স্যার সৈয়দ আহমদ খান ‘মোহামেডান অ্যাংলো- ওরিয়েন্টাল কলেজ স্থাপন করেন। মোহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ’ ১৯২০ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।

common.content_added_by
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion